বাড়ি
রূপসা নদীর সাঁকো !
বললে ও ভাই আজ সারাদিন আমায় তুমি আঁকো !
যেই এঁকেছি নদীর দু কুল, যেই এঁকেছি পাখি,
অমনি দেখি হাজার নাচের রাখী — !
ভালোবাসার ফুল হয়ে সব বললে কাছে এসে !
আজ চলো যাই নতুন গানের দেশে — !
দেশ মানে কি আকাশ, নাকি যা খুশি হয় ডাকো ?
আলো আশার হাত দুটিকে বুকের ওপর রাখো !
হাতছানি দেয় রূপকথা আর তাল তমালের সারি !
সেইতো আমার ধান পতাকা বাড়ি — !
এই পৃথিবীর স্বপ্ন জানে
ঘন সবুজ আলোয় মোড়া একটি তারার শুদ্ধ হাসি ,
চিনবো বলেই হরিণ হয়ে আলোক ধারার স্বর্গে আসি ।
তাই বাজে এই পাতার হৃদয়। অরূপ কথার গন্ধে মাখা ,
শিরায় শিরায় যায় বয়ে রঙ– নদীর মতো মগ্ন শাখা ।
শাখায় শাখায় রূপ অপরূপ!দিন হলে শেষ ইচ্ছে পরী ,
শিউলি, টগর পড়তে থাকে তাই দেখে মেঘ অশ্বে চড়ি — !
ঘন সবুজ আলোয় মোড়া সেই তারাটির গুঞ্জ গানে —
আমার মনও চাঁদ হয়ে যায় এই পৃথিবীর স্বপ্ন জানে !
ওড়ে কদম মাস
হাত তালি দেয় হালুম হুলুম রূপোলী এক বাঘ ।
এখনও সেই আবীর মনে কুসুম বেলার দাগ ।
টাপুর-টুপুর রূপকথা পুর । মেঘ বালিকার গান ।
আকাশ ভরা রামধনু দিন । মাঠ ভরা সব ধান ।
রূপ ঝুমা ঝুম ঝুমঝুমি রোদ । পাখির মতো সুখ ।
গাছের নীচে কিশোরী আর একটি কিশোর মুখ ।
বুকের ভিতর অনেক তারা । ঘাসের কুঁড়ি । ঘাস ।
ডানা নাড়ায় রূপকথা পুর — ওড়ে কদম মাস ।
ছাগল জিরাফ
এবার বলি গোপন কথা
কাঁদলে ছাগল দশঘড়ায় !
দু-চোখ দিয়ে লাগাম ছাড়া
টাটকা চিনির রস গড়ায় !!
রসের বিলে গাউন খুলে
ময়না পুরের চার জিরাফ !
মনের সুখে সাঁতার কেটে
খায় রে পাঁপর আর সিরাপ !!
ঠিক যেখানে
পুনু পুনু কোথায় পুনু ? ওইতো কবি ডাকো !
এপার ওপার মাঝখানে সেই রূপসা নদীর সাঁকো !
রঙ নেমেছে হরিণ ক্ষেতে ! ডাকছে কি এক পাখি
আপন মনে চাঁদের আলোয় একলা জেগে থাকি !
শিউলি পাতা দুলছে ! কিযে চারটি জবার কুঁড়ি
বলছে আবার চলনা সবাই ওড়না হয়ে উড়ি !
আয়তো খেলি চু কিত কিত খেলতে খেলতে শেষে !
ছড়িয়ে যাবো আমরা সবাই মেঘনা মেঘের দেশে !
হারিয়ে যাবো আমরা আবার সবুজ টিলার ঘাসে
ঠিক যেখানে জলছবি ঘর নাচতে নেমে আসে
একটি প্রীতির রাখী
জরির টোপর পাল তোলা মেঘ ,
একটু তাকাও যদি ;
দেখবে হেসে টাপুর-টুপুর
বইছে গানের নদী — !
তার পাশে সব এতোল বেতোল,
নাম না জানা গাছে ;
শিউলি-টগর- বকুল -পলাশ
ফুলরা ফুটে আছে !
জল চিক চিক, গান চিক চিক ,
ঝিনুক পুঁতির খোঁজে ;
একটা মানুষ ঢেউ হয়ে যায় —
কেউ কি সেটা বোঝে ?
কেউ বোঝেনা, কেউ বোঝেনা,
নীল পালকে মুড়ে ;
লোকটা ক্রমেই যায় হারিয়ে
দূরের থেকে দূরে — !
দিন থেকে রাত ছুটতে ছুটতে —
মন ভোলা তার ছবি ;
নিঝুম পুরের হাওয়ায় ভাসে —
ঠিক যেন সে কবি !
তুমিই তবে জরির টোপর ,
পাল তোলা মেঘ পাখি ;
লোকটাকে রোজ পরিয়ে দিও
একটি প্রীতির রাখী !