বইয়ের নাম: প্রজ্ঞান
লেখক: কাহলিল জিবরান
অনুবাদক: গৌরাঙ্গ হালদার
ধরন: কবিতা
প্রকাশক: বেহুলা বাংলা
প্রচ্ছদ: দেওয়ান আতিকুর রহমান
মূদ্রিত মূল্য: ২০০/-
স্টল নং: ২৭১-৭২-৭৩
বই সম্পর্কে
বই থেকে কবিতা-
খোদা
আদি থেকে মানুষ তার নিজের ‘নিজ’কেই উপাসনা করছে। সেই ‘নিজ’কে সে ডেকেছে উপযুক্ত নামে। এখনো পর্যন্ত সে যখন “খোদা” শব্দ ব্যবহার করে তার মানে সেই একই খোদ বা ‘নিজ’।
বেশির ভাগ ধর্ম পুরুষ লিঙ্গের ভাষায় ঈশ্বরের কথা বলে। আমার কাছে তিনি যতটা পিতা ততটা মাতা। তিনি একাধারে মাতা এবং পিতা উভয়ই; এবং নারী মাতৃ-ঈশ্বর। পিতা-ঈশ্বরের নাগাল হয়তো মন অথবা কল্পনার মধ্য দিয়ে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মাতৃ-ঈশ্বরকে শুধু হৃদয়ের মধ্য দিয়ে- ভালোবাসার মধ্য দিয়ে পাওয়া যায়। এবং প্রেম সেই পবিত্র দ্রাক্ষারস যা ঈশ্বর তাদের হৃদয় থেকে প্রবাহিত করে পুরুষের হৃদয়ে সঞ্চার করেছেন। শুধুমাত্র তারাই এই বিশুদ্ধ এবং স্বর্গীয় স্বাদ পেতে পারে যাদের হৃদয় সমস্তরকম পাশবিক ক্ষুধা থেকে পরিশুদ্ধ হয়েছে। (যে) পরিশুদ্ধ হৃদয় প্রেমের মদে মাতাল (সে) মাতাল হবে ঈশ্বরের সাথে। অন্যদিকে যারা একে জাগতিক চাওয়ার মদের সাথে মিশিয়ে পান করবে তারা স্বাদ নেবে নরকের ভোগ উল্লাসের।
যাকে আমরা বুঝতে পারি না এমন ঈশ্বরের কথা অল্প এবং যাদেরকে আমরা অধিক বুঝতে পারি সেই পরস্পরের কথা বেশি বলা হলেই সেটা হত বিচক্ষণতা। তথাপি তোমাকে আমার জানাতে হবে যে আমরা ঈশ্বরের শ্বাস এবং সৌরভ। আমরা ঈশ্বর, পাতায়, ফুলে এবং প্রায়শ ফলে।
[কাহলিল জিবরান নামে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এক নাম। মরক্কো, আর্মেনিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা সহ বিশ্বের অনেক দেশেই তার স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে আবক্ষ মূর্তি, ভাস্কর্য, বাগান ইত্যাদি। এত সম্মান আর এত জনপ্রিয়তা একজন ব্যক্তি কেন পেয়েছেন তা অনুধাবনযোগ্য। মাত্র ৪৮ বছরের জীবনে দারিদ্র্য আর শোকের সাথে লড়াই করেও আরবি, ইংরেজিসহ (আরবি ৮টি) ৫০টির অধিক বই, প্রবন্ধ লিখে গেছেন, এঁকেছেন অসংখ্য ছবি। তিনি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি আরব সাহিত্যে পুনর্জাগরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন, অল্প কিছু বই লিখেই যিনি মার্কিন সমাজে প্রেমের অর্থ নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে গিয়েছিলেন। আজও আমরা তার কবিতা পড়ি আর মুগ্ধ হই। তার দ্য প্রফেটের জনপ্রিয়তা আজও একটু কমেনি। আর কাহলিল জিবরান নামটি আজও সাহিত্যপ্রেমীদের নিকট অত্যন্ত প্রিয়।]
লেখক পরিচিতি
গৌরাঙ্গ হালদার
জন্ম ১৯৮০। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কাঠিরা গ্রামে। পেশায় ড্রাইভার। কৈশোর না পেরোতেই ঘর এবং স্কুল দুই-ই পালিয়ে জীবন-জীবিকার খোঁজে বেড়িয়ে পড়েছিলেন ‘পৃথিবীর পথে’। স্কুল পালালেও ভর্তি হতে ভুল করেননি ‘পৃথিবীর পাঠশালায়’। সেখান থেকেই শেখা এবং পরবর্তীতে লেখালেখিতে হাতেখড়ি।
প্রকাশিত বইঃ লান্দাই-সমাকালীন আফগান নারীদের কবিতা (বেহুলাবাংলা, ২০১৮), তুমি অনন্য (শিশুদের জন্য সচিত্র ছোটগল্প, বেহুলাবংলা, ২০১৯), নর্স মিথ (পেন্ডুলাম, ২০২০)।