জলমানুষ
লেখক: চাণক্য বাড়ৈ
ধরণ: উপন্যাস
প্রকাশনী: ভাষাচিত্র
প্রচ্ছদ: পার্থপ্রতিম দাস
মূদ্রিত মূল্য: ০০
স্টল নং: ১৬৭-৬৮-৬৯-৭০
বই সম্পর্কেঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। রহস্যঘেরা অনিন্দ্যসুন্দর এই নদী-জঙ্গলের মূর্তিমান আতঙ্ক রুস্তম বাহিনীর দস্যুদল। সরকার তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে বাহিনীর সর্দার এই প্রস্তাবে রাজি হয়। জটিলতার শুরু এখান থেকেই। কারণ, জলদস্যুদের একটা বড় অংশ আত্মসমর্পণের বদলে বিদ্রোহ করে বসে।
এর সূত্র ধরে গহীন সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ছোট ছোট দল। বনে-জঙ্গলে লাগামছাড়া দস্যুবৃত্তি চালায় তারা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বনের স্বাভাবিক পরিবেশ।
পশুর নদীর তীরঘেঁষা বানিয়াশান্তা পতিতাপল্লির বাসিন্দা ফুলমতি। তার কাছে দস্যুসর্দার রুস্তমের নিয়মিত যাতায়াত। রুস্তমের ইচ্ছা, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে ফুলমতিকে বিয়ে করে সংসার পাতবে সে। কিন্তু ফুলমতি জানে, এটা কখনও সত্যি হওয়ার নয়।
তাহের বাহিনীর তরুণতম সদস্য তামজিদ। রুস্তমকে খুন করে সে ‘বাঘা তামজিদ’ হয়ে যায়। বেশ কয়েকটা অপারেশানে সাহস আর বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে সর্দার তাহের আর অন্যদের নজরে আসে সে। কিন্তু দুর্ধর্ষ এক দস্যুর আড়ালে লুকিয়ে থাকা তার বিরহী হৃদয় ধিকি ধিকি পুড়তে থাকে দিন-রাত, অতি গোপনে। দূর গ্রামে তার পথ চেয়ে বসে থাকে প্রণয়িনী তন্দুরী।
এদিকে তাহেরের স্ত্রী আফসানা একমাত্র সন্তান নাবিলকে হারিয়ে প্রমাদ গোণে। নিয়তির অমোঘ নিয়মে তার আশ্রয় হয় বানিয়াশান্তার নিষিদ্ধপল্লিতে। একসময় মৃত্যুই তাকে টেনে নেয় কোলে। ভুল বোঝাবুঝির সূত্র ধরে তাহেরকেও গুলি করে মারে তার বন্ধু খালেদ।
এইসব মানুষের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, প্রেম-প্রণয় আর করুণ পরিণতির কাহিনি এই উপন্যাস, ‘জলমানুষ।’
লেখক পরিচিতি
চাণক্য বাড়ৈ
কবি ও কথাসাহিত্যিক। জন্ম ১৯৮২ সালের ১২ মার্চ বাগেরহাট । তার প্রথম উপন্যাস ‘কাচের মেয়ে’ প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯-এ। প্রকাশিত গ্রন্থ: এলিয়েন, পাপ ও পুনর্জন্ম এবং চাঁদের মাটির টেরাকোটা। ইমেইল- chanakyabarai@gmail.com