শেমিজের ফুলগুলি
লেখক: মোস্তফা হামেদী
ধরন: কবিতা
প্রকাশক: প্রিন্ট পোয়েট্ট্রি
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
মূদ্রিত মূল্য: ১৫০/-
স্টল: ৬০৫-০৬
বই থেকে দুটি কবিতা
সংহার দিনে
উন্মাদনা শেষে যে এলো, তাকে দিই প্রেমে রশাল।
হলকুমবরাবর যখন রুহ নেমে যায়, ডেকে ওঠে সেই পাখিটি। তীক্ষ èচিৎকাওে মাতম তোলে।
গগনদীর্ণ ধ্বনি। কুঁকড়ে যায় বনের সবুজপাতা।
সবগিঁটছুটে গেছে। কাছাখোলা নদীর তট বলে কিছু নেই আর।
এমন নিরেখার দিনে ঝাঁঝালো রোদ হয়। রোদে পোড়া লোকগুলো কেবল হাসতে জানে।
কারণ দাঁত ছাড়া সমস্ত কিছু সে লুকিয়ে ফেলেছে।
বর্ণচোর াগাছটি বেশ পসার জমিয়েছে। তোলা মাথায় মৌসুমি পাখির ঝাঁক।
কুপিটি নিভে যায়। চিরাচরিত রসুন বোনার পওে জিরাবে কৃষাণ।
এমত সংহার দিনে, যে দিলো পীঠ পেতে, তাকে বলি কার্পাস ভাঙিয়ে রাখ, দিব ওম-হৃদয়ের তুলা।
রুহমঞ্জিলে
তোমারে স্মরণ করি পীত রঙের ফল ঝুলছে স্মৃতির জঙ্গলে, ছোপ ছোপ আলো। ছোটো ছোটো পাতার জানালায় হু হুহাওয়া।
গূঢ় প্রদেশে বাজে অন্তরঙ্গ সুর। ঝিরিপথ বেয়ে আসা নুড়ির মতো চিকচিকে সমুদয় দিন। আরও স্বচ্ছ কওে তুলছে প্রস্রবণ।
আলগোছে সওে এসে পেয়ে যাই কুসুম আলো। ছড়িয়ে পড়া গুল্মেও ঝাড় বেয়ে নেমে পড়ছে জলাশয়ে।
একটা পানকৌড়ি কেবলই খুঁজে চলেছে। অদেখা রতœ পাথরের প্রেমে মশগুল খনি শ্রমিকের মতো।
ক্ষুৎপিপাসারওঅধিক কোনো ক্ষুধাতাড়িয়ে বেড়ায়। ফলে ভেসে থাকা মাছ, সবুজ পাথর, আধা পাকা ফল ফেলে
কেউ হেঁটে যায় আরও অরণ্যের দিকে।
যেমন দেহ ছাড়িয়ে পৌঁছাতে চায় রুহ মঞ্জিলে। ভাষার আড়ষ্টতা ভেঙে ফুটফুটে কোনো অভিব্যক্তি মেলে চোখ।
লেখক পরিচিতিঃ