প্রতিটি চুমুতে যমক লুকানো ছিল।। দেবার্ঘ সেন

খনিজ

স্পর্শ করবে জানি,
জানি সংকট থেকে উঠে আসবে
খনিজের প্রত্যয়।
বিশ্বের কাছে আনন্দী লেখা হবে
ত্বরণ-সোহাগী কথায়।

হৃদয় যদি ভেদ্যপর্দা নয়,
স্তব্ধতার ভাষা তবে দুর্জ্ঞেয় বড়…

যমক

প্রতিটি চুমুতে যমক লুকোনো ছিল।

আগে যেখানে বসে লেখালিখি করতাম,
এখন সে জায়গা বদলেছি।

তোমার চোখের মরণোত্তর দায় থেকেই
আমি মঞ্চ ছেড়েছি…

প্রতিটি চুমুতে যমক লুকোনো ছিল।

ঠাকুরের ভোগে যেমন কোনও
আমিষ থাকে না…

সান্দ্রতা

লবণ যৌনতা জিভে
পদ্মের পাপড়ি খুলে যায়।
ঔপনিবেশিক বর্ণে বরফ স্পর্শ করে,
ভেজা কাঠে আগুন দিলে
মৃত্যু গর্বে আরাম পায় জল।

অঙ্গের পৃষ্ঠটানে
এইসব উড়ে যেতে চায়,
বিভিন্ন শীৎকারে।
দূরে কোথাও নিশ্চিহ্ন হতে চায়
অন্তর্বাসের ধূসর আখ্যান
বোতাম শহর মুছে দিতে চায় এইসব হিমেল হাওয়া…

প্রেম

গাছ মাত্রই অবলা,
প্রেমে পড়া সহজ ভীষণ।
সাঁতার জানো?

জলের স্পর্শে কাপড় ভেজে
ভেজা মানেই ভারি ভারি

জলের তোড়ে কাপড় খুলে যায়
এটুকুই বুঝি অদৃশ্য সংকট!

পাতন ২

আমার ভেতরের গান অথবা শ্লোগান
পথের ধারে কাছে পাতিত পাতায়
শীতকাল গেট ছেড়ে প্রস্থানের পথে
দেহসুখ জর্জর, দড়িতে বসে কাক।

সকড়ির আশেপাশে পিঁপড়ে মিছিল
কোমরের খাঁজ যেন ফার্মেসির পথ
রিক্সার ঘোমটায় লোহার কানের
অঙ্ক বইয়ের ভেতর গোলাপ শুকায়…

Facebook Comments

comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

scroll to top