দ্রাবিড় সৈকতের বই ‘ফ্রয়েডিয় লিবিডো তত্ত্ব এবং তান্ত্রিক দেহাত্মবাদ : সমীক্ষণ ও তুলনামূলক বিচার’। এটি প্রাচীন জ্ঞানকাণ্ডের সঙ্গে আধুনিক জ্ঞানজগতের তুলনামূলক ধারণা সম্পর্কীত বই।
তন্ত্র, তনয়, তাঁত, বঙ্গ, বাঙলা এই শব্দগুলোর সম্পর্কসূত্রে রয়েছে অনেক গভীর ইশারা। বঙ্গীয় সংস্কৃতির বহুবিভক্তি এবং অনেক বেশি অবোধগম্যতার কারণ আধুনিকতার কুপ্ররোচনায় আমরা প্রাচীন মনন-মনীষার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে উন্মূল হয়ে গেছি। শাখা-প্রশাখার আপাত বৃদ্ধি দেখে আপ্লুত হবার কিছু নেই; কেননা তার শেকড় মাটির গভীর থেকে রস আহরণ ভুলে গেছে, দৃঢ় চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকার সামর্থ্য তার নেই; যে কোনো সামান্য ঝড়েই তার পতন অনিবার্য। ‘আত্মানং বিদ্ধি’র অভ্যন্তরে প্রবেশের যে সূত্র ‘যা আছে ভাণ্ডে তাই আছে ব্রহ্মাণ্ডে’র চাবি আমরা অতীতের অতল গহ্বরে হারিয়ে ফেলেছি। বাস্তব দৈনন্দিন জীবন-জগতের সাথে মহাবিশ্বের সম্পর্কসূত্রে উত্থিত ‘অহিংসা’কে আমরা ভেবেছি নিতান্তই ক্লিশে এক জরাজীর্ণ প্রাচীন ধারণা; যুদ্ধ-হিংসা-লোভ-ক্ষমতা ও মাৎস্যন্যায়ে শঙ্কাকীর্ণ সময়ে ওসব বাতিল প্রকরণ। অথচ বর্তমান পৃথিবীকে বাঁচাবার প্রধানতম পথই হয়ে উঠবে এই তান্ত্রিক মতাদর্শ।
আজকের আধুনিক পৃথিবী উত্তরাধুনিকতার নামে সেই দিকেই ক্রমাগত ঝুঁকে যাচ্ছে। ফ্রয়েডের মনোবিজ্ঞান যার কাছে একটি অধ্যায় কেবল। ‘ফ্রয়েডিয় লিবিডো তত্ত্ব এবং তান্ত্রিক দেহাত্মবাদ : সমীক্ষণ ও তুলনামূলক বিচার’ এই বিষয়গুলো নিয়ে যৌক্তিক কাঠামোর একটি সূচনাকালীন পর্যবেক্ষণ এবং পাঠকের জন্য অভিনব কিছু ধারণার বিস্তার।
বইটি প্রকাশ করেছে সংবেদ। এটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় সংবেদের ৩৫২-৩৫৩ নম্বর স্টলে।