মুন্সী প্রেমচন্দ (১৮৮০-১৯৩৬) আধুনিক উর্দু-হিন্দী কথাসাহিত্যের এক প্রতিভাবান পুরুষ। ডজনখানেক উপন্যাস এবং আড়াই শয়ের বেশি ছোটগল্পের রচয়িতা প্রেমচন্দ চিন্তায় ছিলেন তার সময়ের চেয়ে প্রাগ্রসর। কথাসাহিত্য ছাড়াও তিনি নাটক এবং প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বিভিন্ন ব্যক্তিকে লেখা তার চিঠিপত্র সংকলিত হয়েছে যাতে প্রেমচন্দের সাহিত্যিক ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। প্রগতিশীল হিসেবে তিনি আজীবন সমাদৃত হয়েছেন লেখকসমাজে। মূল হিন্দী থেকে অনূদিত ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য’ প্রবন্ধটি ১৯৩৬ সালে লক্ষ্ণৌয়ে অনুষ্ঠিত প্রগতিশীল লেখক সংঘের প্রথম অধিবেশনের সভাপতির ভাষণ হিসেবে পঠিত।
… ভাষা আসলে সাধন, সাধ্য নয়। এখন আমাদের ভাষা সেই রূপ লাভ করেছে যে আমরা এখন ভাষা থেকে সামনে এগিয়ে ভাবের দিকে খেয়াল দিতে পারি এবং এই কথা বিবেচনা করতে পারি, যে উদ্দেশ্যে এই নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল তা কিভাবে পূর্ণ করা যায়। সেই ভাষার শুরুতে ‘বাগোবাহার’ আর ‘বৈতাল-পচীসী’ রচনাই সবচেয়ে বড় সাহিত্য সেবা ছিল, আজ তা এমন যোগ্যতা অর্জন করেছে যে তাতে শাস্ত্র এবং বিজ্ঞানের বিবেচনা করা যেতে পারে আর এই সম্মেলন এই সত্যেরই সুস্পষ্ট স্বীকৃতি।
লেখালেখির উঠান সাহিত্য পাতার অনলাইনে সফিকুন্নবী সামাদী অনূদিত প্রেমচন্দের এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয় আগস্ট ১২, ২০১৮ সালে। প্রবন্ধটি বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ বইমেলা ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে। মেলায় ঐতিহ্যের স্টল, প্যাভিলিয়ন ২৫ এ পাওয়া যাবে।