কেমন করে এলাম আমি এই জিজ্ঞাসা যেমন চিরকালের তেমনি কার ইশারায় সৃষ্টি হলো বিশ্বজগৎ এই ভাবনাও বহু পুরোনো। নর্স মিথলজির গল্প গুলোয় উপমার আবরণে, অসম্ভবের বয়ানে দেব-দেবীরা এমনভাবে মানুষের ভিড়ে মিশেছেন , মনে হয়েছে পুরাণের পাতা থেকে নেমে উনারা যেন ঠিক আমাদের মাঝেই রয়েছেন। থরের হাতুড়ি হারালে, ওডিন কাব্যের সুধা ভাণ্ডার উদ্ধার করতে গেলে কিংবা জোথানহিমের দিকে রওনা কালে পাঠক ভাসতে থাকে কল্পলোকের ডানায়, যাতে জুড়ে দেওয়া বাস্তবতার পালক। সেই পালকে লেখা স্মৃতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলে না কিংবা ভাতৃহত্যার ক্ষমা হতে পারেনা । পাঠক তাই অ্যাসগার্ডের দেয়ালে চোখ রেখে, রামধনু সেতুর এপার ওপার খুঁজতে খুঁজতে ন্যায়-অন্যায় বোধের হিসেব নিকেশে দেবতার দায় নিয়ে বড় ভাবনায় পড়ে যায়। ভালো মন্দের রায়ে বিবেচ্য বিষয় তো প্রেক্ষাপটও, সেই ইশারাটি ভীষণ সরব নর্স মিথোলজি বইটির প্রতিটি গল্প জুড়ে। এভাবেই অ্যাডভেঞ্চার ঠাসা মিথের দুনিয়ার রঙিন গল্পগুলো শুধু শিশুতোষ থাকে না , হয়ে যায় সবার। বইটি প্রকাশিত হয়েছে দিব্য প্রকাশ থেকে। মূল লেখক নিল গেইম্যান। অনুবাদ করেছেন ফারজানা জাহান। প্রচ্ছদ করেছেন এস. তালুকদার। মেলায় স্টল নং ৩৩৬-৩৩৯
নির্বাচিত বই । বইমেলা ২০২৪ ।। নর্স মিথোলজি। নিল গেইম্যান ।। অনুবাদ- ফারজানা জাহান
