জম্মেছি পাহাড়ে
জম্মেছি পাহাড়ে আমি।
অনেক পাহাড়ে উঠেছি,
ছোট, বড়, মাঝারি-
ফুরামোন, ফালিতাঙ্যেচুক।
যদিও বন্দুককানা মোন উঠিনি
জয় করেছি হিমালয়।
একচল্লিশে গঙ্গাকে দেখেছি, জয় করেছি পদ্মা।
রণক্লান্ত এখন, বারুদেরা সারাক্ষণ শুতে চাই
এখন আমি শুধু চেয়ে থাকি।
সময়েরা বড়ই অনিষ্টকর, বলে কর্মেই সব-
আমাকে সারাক্ষণ হুমকি দেয় নিস্তেজ প্রবাহে,
কর্মেরা এখন চারপাশে উল্লাসে মত্ত,
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই।
০২.০২.২৪
——-০——–
তোমাকে অভিবাদন
চোরাবালি আর নর্দমার কর্দমা
সর্বক্ষণ ওঁৎপেতে থাকে পরাস্ত করবে বলে,
সত্ত্বাও প্রয়োগ করতে থাকে সর্বশক্তি।
সময়ে বাতাস প্রবাহিত হয়,
সম্মুখে কড়া বেষ্টনী ছেদনে ভেদ করে নিতে।
বাতাস প্রবাহিত হয় মুক্ত মঞ্চে
আলোর খেলা খুশিতে নেচে উঠে;
তখন মুখ থুবড়াতে সদা ব্যস্ত-
চোরাবালি সময় পার করা।
কিন্তু বাতাস প্রবাহমান,
শত বেষ্টনী সে পেরিয়ে যাবেই,
তাইতো তোমাকে অভিবাদন।
০৩.০২.২৪
——-০——–
আমার লোগাং নদীটির তীরে
কোথায় যাবে।
হাঁটতে গিয়ে গাঙটি আমার চুপিসারে
জিজ্ঞাসা করে,
‘এই বৃদ্ধ বেটা! এতবছর কোথায় ছিলে লুকিয়ে?’
‘না না ভাই কথা বলিস না,
হাঁটছি আমি দেখ চুচ্যাঙ তাগল নিয়ে।’
একটু পরে তার সাথে দেখা মেলে লোগাং নদীর চরে।
বন্ধু আমার বালক সাথী কত খেলা খেলেছি-বামন ঘুমুরা খেলে।
‘ছেড়ে দে ভাই পথটি মোরে,
চেয়ে আছে আমার পানে, তাই আমি সত্যি করে,
যাবো এবার তাহার সনে।’
লোগাাংদেবী খেলার সাথী বুর মেরেছি কত,
এবার গিয়ে দেখতে পেলাম
লোগাং নদীর সব জল যে হয়ে গেছে শেষ।