সংশপ্তক
সমাগত দিন আরো ভায়ানক হবে
আমরা তা জানি জেনেই নেমেছি পথে,
ভয় নিতে নেই হৃদয়ের দাবি তুলে
ভয় নিতে নেই রক্তের লাল দেখে।
যেই প্রেমিকের পাঁজর এখনো ঢাল
যেই হৃদয়ে এখনো তুমুল তেজ,
তারা আজ পথে,তারাই লড়বে জানি
রক্তের রাত পেরিয়ে জাগাবে ভোর।
তৃণভোজী যারা বন্ধু নামক প্রাণী
চুপ করে আজো গাইছ সন্ধ্যা রাগ?
বাইরে তোমার বন্ধুর রাঙা খুনে
মাটি ভিজে ওঠে লোহিতের নোনা ঘ্রাণে।
খোলা চোখে আজো টিনের চশমা পর?
দৃষ্টির ভাঁজে পরাবাস্তব ঠুলি?
আমি ঘৃণা করি তোমাদের রঙ তুলি
যারা প্রমানিত প্রেমিকের নামে মেকি।
ভয় নিতে নেই ভয় নেই দেবদারু
মাথা তুলে আজ কথা কও আর দৃঢ়,
রক্তের বীজ থেকেই জন্মে জেনো
শত বীর শত তরুণের তেজি দেহ।
কাক
এই গণহত্যার পর বেঁচে থাকাটাই ভয়ানক।
সন্তানের লাশ গ্যাছে গোরে,
শোকের পাথর পিতামাতা হাজার হাজার।
এই বেঁচে থাকাটাই যেন আজ পাপ, কাঁধে নিয়ে হাহাকার।
সারা বাড়ি শূন্যতার স্তম্ভ ;
একটা একটা দিন কাটে জলঘড়ি ঠেলে …
… তারপর দিন শত শত, রোজ যেন কারবালা বেদনার।
গোরেস্তানের পথে লাশের মিছিল,
গুম হয়ে গেছে আরও শত শত আদরের ধন।
বেঁচে আছি শুধু আমি মহাকাল — কাক!
সন্ধ্যায় বসে থাকি ঘরের ডোয়ায়,
কর গুনে দেখি দিন- মাস সন্তান বিচ্ছেদের,
অধির পিপাসা নিয়ে চেয়ে আছি
এই কালো স্বৈরাচার পতনের।
২৬ জুলাই ২৪
বেঁচে আছি লাশের উপর
শহীদ যে হলো তাঁর রক্ত দেখে মনে হয় —
আমি কেন বেঁচে আছি? মাগফিরাত চাই না, চাই প্রতিশোধ।
এই জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় আছি,
সব দাগ নিয়ে; গুনে গুনে দেখি,
আজ নয় কাল আমি পালটা জবাব তুলে নেবো।
এইসব হত্যার শোক আমাদের লজ্জায় ফেলে গেলো,
আমি কেন বেঁচে আছি মেরুদণ্ডহীনের ভীড়ে?
১৬ জুলাই ২৪