মৃত্তিকা চাকমা
মৃত্তিকা চাকমা নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৮ সালের ১২ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা মৌজার মুগছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ। কবি মৃত্তিকা চাকমা মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন জুম ইসথেটিক কাউন্সিল জাক এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া আদিবাসী কবিতা পরিষদ, হিল চাদিগাং থিয়েটারসহ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে জড়িত।
সাহিত্য কর্ম
তার সৃষ্ট নাটকের মধ্যে দেবঙসি আহধর কালা ছাবা (১৯৮৯), গোঝেন (১৯৯০), মহেন্দ্রর বনবাঝ (১৯৯২), একজুর মান্নেক (১৯৯৩), জোঘ্য (১৯৯৯), হককানির ধনপানা (২০০১), একাত্তর তরুণী (২০০২), ভূত, থবাক (২০০৫), বান (২০০৮), কর্মফল (২০১২), মোনফুল (১৯৯০), উদোশিঙর খানা গুদি (১৯৯৭), তুলোপুধি বাবর মাধা ধনা (১৯৯৭), গুণমনে স্কুলত যেব (২০০০), নেতার চবাত (নাটিকা), থগ (নাটক), জামেই মারা (চাকমা কিংবদন্তী নাটক), কুন্ডলী বালার অর্হত (কাব্য নাটক), আভা (চাকমা নাটিকা), শান্তি দেবী জদন হলা (নাটিকা), আঙস্যা সদগ (নাটিকা), জামুরো (নাটিকা), শিদোলো তাবা দি’ বিনি ভাত (নাটিকা), পার্বতী মা (নাটিকা), চন্ডি চরণার খানাগুলি (নাটিকা), কাবাহুল (নাটিকা), দি মোক্কে লাদি ভাত (নাটিকা), নিজ অহরখ শিখিবং (নাটিকা), তানজাং (নাটিকা)।
সম্মাননা
তোলবিচ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১), জাতীয় সাহিত্য পরিষদ, ঢাকা (২০০৩), স্বাধীনতা সংসদ সন্মাননা, ঢাকা (২০১০), আন্তর্জাতিক জলঙ্গী কবিতা উৎসব সন্মাননা, নদীয়া ভারত (২০১০), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০২৩)
[উইকিপিডিয়া]