রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গাঁয়ের পাশে নদী
সেখানে বারো মাস বিন্দু বিন্দু আকাশ ঝরে
জলতরঙ্গ বাজে
‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’, … পাতা নড়ে, জল পড়ে
সারা গাঁয়ে জলতরঙ্গের বোল
মাঠে বীজ বুনে সিঞ্চন করে
বীজ অংকুর হলে
প্রথম পাতা ফোটে, ভাবনার পাখা ডানা মেলে
শব্দ যখন পলক খুলে দেখে সব
বৃক্ষ শাখায় কবিতারা চোখ মেলে
ফসলের মতো
মাঠে
একজন
আশে-পাশে বারো মাস গুনগুন করে
‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’
পাতা নড়ে, জল পড়ে
গাঁয়ের পাশে এক নদী জলে টলমল
তাঁর বুকে বারো মাস বিন্দু বিন্দু আকাশ ঝরে!!
জীবনানন্দ দাশ
সে গেল যখন ডেকে, তখন আমি আধো ঘুমে
বোধহয় সে চলন্ত ট্রাম থেকে লাফিয়ে নেমেছিল
আর পা গিয়ে পড়েছিল ঝিলের জলে
ঝিলের জলে রাজহাঁস তার
দুই ডানা মেলে শনশন গিয়েছিল উড়ে
পালক হতে সোনালি রোদের গন্ধ ঝরিয়ে
চিল ফিরে এসেছিল আপন নীড়ে
আমি আধো ঘুমে…
ধোঁয়া, সন্ধ্যার অন্ধকার, শীতের আঁচড়
আর এরই মাঝে ট্রামের চাকা
চাকায় রক্ত চমকে ওঠে
চাকার নিচে কে যেন বাংলায় কবিতা পড়ে
‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে’
এক টুকরো মেঘ চেহারা রেখেছে ঢেকে
তবু দুই কালো চোখ চোখে পড়ে
মনে পড়ে নাটোরের বনলতা সেন
“শব্দ যখন পলক খুলে দেখে সব
বৃক্ষ শাখায় কবিতারা চোখ মেলে
ফসলের মতো
মাঠে …”
এতো মিস্টি, এতো গভীর গুলজার? জানা হলো জাভেদ এর কল্যাণে। কাকে ধন্যবাদ দিই?
-তাহের।
অবশ্যই গুলজারকে তাহের ভাই।