উর্দু সাহিত্যের পরম্পরা :১ ।। জাভেদ হুসেন

(উর্দু সাহিত্যের ভান্ডারে সম্পদের অভাব নেই। আমাদের কাছে এর সামান্য অংশ পরিচিত। এই লেখাগুলোতে পরিচিত থেকে অপরিচিত বড় চরিত্রগুলোকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার পরিকল্পনা আছে। কখনো এর বিষয় হবেন কবি, কখনো কবিতা। গদ্য সাহিত্য একেবারে বাদ যাবে এমন বলা যাচ্ছে না। আর লেখার পরিধি হবে ছোট। কালপঞ্জি মেনে চলা হবে না। নিতান্ত গল্পের ছলে বলে যাওয়া হবে। এই সাহিত্যের আঙিনায় যদি উঁকিঝুঁকি মারা যায় তাহলেই উদ্দেশ্য সফল। প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, চলুন কিছু দিন বেড়িয়ে আসা যাক)

এই যে দু-চার ক্ষ্যাপা

জেনারেল আইয়ুব খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ভারতে এক মুশায়রায় গেছেন প্রধান অতিথি হয়ে। একজন কবি নিজের কবিতা পড়ার আগে একটা গজল পড়লেন। জেনারেল সাহেব সেই কবিতা শুনে মোহিত হলেন। সভা শেষে সেই কবিকে জিজ্ঞাসা করলেন – আপনার প্রথম পড়া গজল কার লেখা? কবি হেসে বললেন, “উনি আপনার দেশের কবি সাগর সিদ্দিকী”। দেশে ফিরে সাগরের খোঁজ শুরু হলো। জানা গেল তিনি দাতা সাহেবের মাজারের আশেপাশে থাকেন। লোক পাঠানো হলো যে গিয়ে কবিকে তাজিমের সঙ্গে বলো প্রেসিডেন্ট আপনার সাক্ষাতপ্রার্থী। দূতেরা গিয়ে দাতা দরবারে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলো – কবি সাগর সিদ্দিকী কোথায় থাকেন? মশকরার সুরে জবাব এলো – “কোথায় থাকেন? আরে ওর কি ঘর-বাড়ি আছে নাকি! চরশখোর! ওই যে, ফুটপাথে শুয়ে আছে”। সাগরের কাছে গিয়ে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ বার্তা জানানো হলো। কবি বললেন – “যাও, গিয়ে বলো, সাগরের সঙ্গে কারো বনিবনা হয় না, সাগর কারো কাছে যায় না”। কবিকে ঘিরে থাকা এক গেলাসের ইয়াররা আকাশ কাঁপানো হাসিতে ভেঙে পড়লো। কাহিনী বলছে যে এর পর আইয়ুব খান চিঠি লিখে কবির দেখা চাইলেন। সাগর এবার চিঠির উলটো পিঠে লিখে দিলেন:

জিস এহদ মেঁ লুট জাতে হ্যায় গরিবোঁ কি কামাই
উস এহেদ কি সুলতাঁ সে কুছ ভুল হুয়ি হ্যায়
(যে কালে দরিদ্রের কামাই লুট হয়ে যায়
সে কালের শাসকের নিশ্চয়ই কিছু ভুল হয়েছে)


ষাটের দশকে লাহোরের আনারকলি বাজার, আইবেক রোড, দাতা দরবার এলাকায় দেখা যেত জট লাগা চুল, শীত গ্রীষ্ম সব সময় গায়ে একটা কালো কম্বল জড়িয়ে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। থাকতেন ফুটপাথে। সংসার বলতে একটা কেরোসিনের চুলো, তাতে অষ্টপ্রহর চায়ের জল চড়ানো আর সঙ্গী একটা কুকুর। ফুটপাথেই মোমবাতি জ্বালিয়ে মুশায়েরা বসাতেন। লাহোরের বড় কবিরা তাতে নেমতন্ন পেলে গর্ব বোধ করতেন। লাহোরের দুর্দান্ত শীতে ঘুমাবার জায়গা ছিল খাবার হোটেলের তন্দুর রুটি বানানোর নিভিয়ে দেয়া চুলোর ওপর বেছানো সেই কম্বল।

সাগর জন্মেছিলেন অবিভক্ত ভারতের আম্বালায় ১৯২৮ সালে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান হয়ে। ১৯৪৭ সালে ১৯ বছরের যুবক কবি লাহোরে পাড়ি জমান। সেই সময়ে তোলা তাঁর ছবি পাওয়া যায়, ছিপছিপে, কোঁকড়া চুল, প্যান্ট আর হলুদ রেশমি বোসকি শার্ট গায়ে। সুরেলা গলায় নিজের গজল পড়ে অচিরেই বিখ্যাত হয়ে উঠেন। সিনেমার জন্য লেখা গান জনপ্রিয় হয়। একটা সাহিত্য পত্রিকাও বের করা শুরু করেন। তাঁর পরিবারের কোন খবর কেউ জানতো না। শরণার্থীদের জন্য দেয়া সরকারি বাড়িতে তিনি উঠলেন না। প্রথম থেকেই সস্তা হোটেলে থাকতেন। কবিতা বিক্রি করে খরচ চলতো। তাঁর কাছ থেকে কেনা কবিতা অন্যের নামে ছাপা হতো। পত্রিকা প্রশংসা পেলো। কিন্তু টাকা তুলে আনতে সাগর নিতান্ত আনাড়ি সাব্যস্ত হলেন। পত্রিকা বন্ধ হলো। হোটেলের খরচ যোগাড় হয় না। সাগর ফুটপাথে থাকা শুরু করলেন।

অসুস্থ সাগর কথা স্পষ্ট করে বলতে পারতেন না, জড়িয়ে যেতো। অথচ কবিতা লিখতেন দুর্দান্ত! ফিল্ম থেকে শুরু করে মেহেদি হাসান খাঁ সাহেবের মতো গাইয়েরা ফুটপাথে তাঁর পাশে বসে থাকতেন গজল নিয়ে যাওয়ার জন্য। এমনি একটা বিখ্যাত গজল খাঁ সাহেবের গাওয়া:

চারাগে তুর জ্বালাও বড়া আন্ধেরা হ্যায়
যারা যুলফ উঠাও বড়া আন্ধেরা হ্যায়
(তুর পাহাড়ের প্রদীপ জ্বালাও, বড় অন্ধকার
একটু মুখের পর্দা সরাও, বড় অন্ধকার)

যে অন্ধকার দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁকে দূর করতে তুর পাহাড়ে নেমে আসা খোদার রূপের আলো জ্বালাতে বলতেন সাগর সিদ্দিকী। যদিও বহাল জীবন তাঁর কাছে আততায়ীর মতো:

অ্যায় আদমকে মুসাফিরোঁ হোশিয়ার
রাহ মেঁ যিন্দেগী খাড়ি হোগি
(ওহে অনস্তিত্বের পথিকেরা, সাবধান!
পথে হয়তো জীবন ওঁত পেতে আছে)

যা হোক, খুব বিখ্যাত হলো সেই গজল। একবার সাগর ফুটপাথ দিয়ে যাচ্ছেন। পানের দোকানে রেডিওতে এই গজল বেজে উঠলো। তিনি থমকে দাঁড়িয়ে পুরো গজল শুনলেন। শেষে ঘোষক বল্লেন – আপনারা এত ক্ষণ শুনলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত শায়ের সাগর সিদ্দিকীর গজল। সাগর তাই শুনে মুচকি হেসে বলে উঠলেন:

সাকিয়া তেরে বাদাখানে মেঁ
নাম সাগর হ্যায় ম্যায় কো তরসতে হ্যায়
(সাকি তোমার পানশালায়
নাম সাগর, আর একবিন্দু মদের জন্য তৃষ্ণার্ত)

মনে রাখা দরকার, উর্দুতে সাগর মানে পানপাত্র। তবে পথের ধারে বসে তিনি জগতের কৃপা আর ভালোবাসার নাটক বেশ উপভোগ করতেন। সেই চলমান জীবন তাঁকে নাড়া দিতো নিশ্চয়ই:

দেখা জো রকস করতি হুয়ি মওজে যিন্দেগি
মেরা খায়াল ওয়াক্ত কি শেহনায়ি বন গ্যায়ি
(দেখলাম যখন নেচে ওঠা জীবনের স্রোত
আমার ভাবনা কালের সানাই হয়ে বেজে উঠলো)

এই জীবনের স্রোত সাগরকে অস্থির করেছিল। তিনি এর মাঝে দূঃখকে চিনেছিলেন। এরকম অনেকেই চেনে। তবে সাগর সেই সাথে বাড়তি আরো বড় অভিশাপ বা আশির্বাদ পেয়েছিলেন:

দিল মিলা অওর গম শানাস মিলা
ফুল কো আগ কা লিবাস মিলা
(হৃদয় পেয়েছি, আর পেয়েছি তাকে যে দুঃখ বোঝে
হায়! এ যেন ফুল উপহার পেয়েছে আগুনের পোশাক!)

তবে সেই দুঃখ তিনি উপভোগ করে গেছেন কিছু শর্তে:

ইক নগমা ইক তারা ইক গুনচা ইক জাম
অ্যায় গমে দওরা গমে দওরা তুঝে মেরা সালাম
(একটা সুর, এক নক্ষত্র, একটা না ফোঁটা কলি, আর এক পাত্র মদিরা
কালের বেদনা! ওগো কালের বেদনা, তোমাকে আমার অভিবাদন)

কিন্তু সবাই তো আর সাগর হতে পারে না। বাকিদের এই জগতে কেমন হাল? সে বড় সুবিধের নয়:

গম কে মুজরিম খুশি কে মুজরিম হ্যায়ঁ
লোগ আব যিন্দেগি কে মুজরিম হ্যায়ঁ
(দুঃখের কাছে অপরাধী সুখের কাছেও অপরাধী
মানুষ এখন খোদ জীবনের কাছেই অপরাধী)

জীবনের এই উদ্যানে ফুলের প্রেমে আকাঙ্ক্ষী মন সাগরের হাতে নতুন পরিচয় পেল। গানের পাখির কাতর আহ্বানে চির উদাসীন ফুল আর কলি নিজেই এখানে ভিন্ন চরিত্রে হাজির :

জো চমন কি হায়াত কো দস লে
উস কলি কো বুলবুল ক্যাহতা হুঁ
(ফুলবাগানের আয়ুকে দংশন করে যে
সেই কলিকে আমি গানের পাখি বলি)

সাগর নিজে কি সেই দংশনকারী কলি ছিলেন? নিজেকে কেন লুকিয়ে রাখতেন তিনি পাগলের বেশে? নাকি তাঁর নিজের আগুনের কাছে এসে টিকতে পারবে এমন কাউকে তিনি দেখতে পাননি:

মেরে দামন মেঁ শারারোঁ কি সিওয়া কুছ ভি নেহিঁ
আপ তো ফুলোঁ খরিদ্দার নযর আতে হ্যায়
(আমার আঁচলে স্ফুলিংগ ছাড়া আর কিছু নেই
কিন্তু তোমাকে দেখে তো ফুলের খরিদ্দার মনে হয়)

এই দূরে থাকা, এই বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা আসলে অতি আপনের প্রতি অভিমান হয়তো:

ভুলি হুয়ি সদা হুঁ মুঝে য়াদ কিজিয়ে
তুমসে কাহিঁ মিলা হুঁ মুঝে য়াদ কিজিয়ে
(ভুলে যাওয়া এক ডাক আমি, মনে করো আমার কথা
কোথাও দেখা হয়েছিল আমাদের, মনে করো আমার কথা)

সেই ভুলে যাওয়া কালে, কী জানি কখন, সমস্ত সুরের আবাহন হতো আমার নামে। এখনও সমস্ত অশ্রু তাদের অবসানের আশায় আমার পথ চেয়ে থাকে:

নগমোঁ কি ইবতিদা থি কাভি মেরে নাম সে
আশকোঁ কা ইনতিহাঁ হুঁ মুঝে য়াদ কিজিয়ে
(কোন এক দিন সমস্ত সুর শুরু হতো আমার নামে
এখনও সকল অশ্রুধারার সমাপ্তি আমি, মনে করো আমার কথা)

কেবল কোন এক ভুলে যাওয়া, ফেলে আসা স্থান আর কাল নয়, এখনও কবির পায়েই সুন্দরের সকল নৈবেদ্য এসে জমে। কবির হাতেই প্রেমের চাবিকাঠি:

মেরে নিগাহেঁ শওক মেঁ হর হুল হ্যায় দেওতা
ম্যায় ইশক কি খুদা হুঁ মুঝে য়াদ কিজিয়ে
(আমার বাসনা ভরা দৃষ্টির সামনে প্রতিটি ফুল দেবতা
আর আমি প্রেমের ঈশ্বর, মনে করো আমার কথা)

যতই ইশারা দিয়ে রাখুন তিনি, তাঁকে তাঁর আসল পরিচয়ে চিনে নেয়া কি সহজ? তিনি তো কোন চির সুন্দরের এলোমেলো চলার ধরন। সুন্দর তো নিজেকেই নিজে এই নেশায় মজে চিনতে পারছে না। তবুও তিনি অসহায় আকুতি জানান, কেউ তাঁকে চিনে নিয়ে এই একাকীত্বের অবসান ঘটাক:

সাগর কিসি কি হুসনে তাগাফুল শাআর কি
বেহকি হুয়ি আদা হুঁ মুঝে ইয়াদ কিজিয়ে
(সাগর কোনো সুন্দরের চির উদাসীন অবহেলার
নেশা ধরা এলোমেলো চলা আমি, আমাকে মনে করো)

কেউ চিনতে পারেনি তাঁকে।  জীবন এভাবে কেটে গেছে:

যিন্দেগি যবরে মুসালসল কি তরহা কাটি হ্যায়
জানে কিস জুর্ম কি পায়ি হ্যায় সাযা ইয়াদ নেহি
(নিরন্তর নিপীড়নের মতো কেটেছে এই জীবন
কোন অপরাধের পেয়েছি সাজা, মনে পড়ে না)

এই বিস্মৃতির টানাপোড়েনই ফল কী তবে নিজ গায়ে চিহ্ন রূপে বহন করে সকল কবিতা:

হ্যায় দুয়া য়াদ মাগার হর্ফে দুয়া য়াদ নেহিঁ
মেরে নগমাত কো আন্দাযে নওয়া য়াদ নেহিঁ
(প্রার্থনা মনে আছে, ভুলে গেছি কী বলে প্রার্থনা করতে হয়
আমার সকল গান ভুলে গেছে সুরের চলন)

কী করে তবে ফিরে পাওয়া যাবে যা হারিয়ে গেছে:

কলিয়োঁ কি ম্যাহেক হোতা তারোঁ কি যিয়া হোতা
ম্যায় ভি তেরে গুলশান মেঁ ফুলো কা খুদা হোত
(ফুলের সুগন্ধ, নক্ষত্রের আলো থাকতো যদি
আমিও তোমার উদ্যানে ফুলের ঈশ্বর হয়ে থাকতাম)

কিন্তু তাই বলে কিন্তু ভাবনার বৃক্ষ অনুভুতির পত্রপল্লব নিস্ফলা নয়, শুধু সেই তুমি ফিরে তাকাও না:

ইহসাস কি ডালি পর ইক ফুল ম্যাহেকতি হ্যায়
যুলফোঁ কে লিয়ে তুম নে ইক রোয চুনা হোতা
(অনুভূতির শাখায় একটা ফুল কেমন সুবাস ছড়াচ্ছে
তোমার কেশে গাঁথবে বলে যদি কোন দিন তাঁকে ছিড়ে নিতে)

১৯৭৪ সালের জুলাই মাসের এক ভোরে সাগর সিদ্দিকীকে ফুটপাথে মৃত পাওয়া গেল। কবির বয়স তখন ৪৬ চলছিলো। শেষ সময়ে কাছে ছিলো তাঁর একমাত্র স্বজন বন্ধু কুকুরটি।

জুলিয়ে কলেমো নামে এক ফরাসি সাগরের কবিতায় এতো মুগ্ধ হলেন যে তিনি উর্দু শিখে কবিকে নিয়ে উর্দুতে উপন্যাস লিখে ফেললেন। শিক্ষিত মানুষেরা সাগরের কবিতা পড়েন, আনন্দ পান।  আর কবিকে ভুরু কুঁচকে সিজোফ্রেনিয়ার রোগী বলে দায় সেরে নিজেদের সুস্থতাকে নিরাপদ রাখেন। তার কবর হয়েছে মিয়ানি সাহেব কবরস্থানে। যে ফুটপাথে তিনি জীবন কাটিয়েছেন, সেখানকার এখনো যারা বাসিন্দা তারা তাঁকে ভোলেনি। এই মুটে-মজুরদের কাছে তিনি একজন সাধক পুরুষ। তারা সেখানে কবির সমাধির ওপর মাজার গড়ে তুলেছেন। প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে গরীব মানুষগুলো ভীড় করে। তারাই বোধ হয় সাগরের এই শেরের অর্থ বুঝতে পেরেছেন:

য়ে জো দিওয়ানে সে দো চার নযর আতে হ্যায়
ইন মেঁ কুছ সাহিবে আসরার নযর আতে হ্যায়
(এই যে দু-চারজন ক্ষ্যাপার মতো দেখা যাচ্ছে
এদের মাঝে কয়েকজন মনে হয় জগতের রহস্য বোঝে)

চলবে…

Facebook Comments

comments

৩ Replies to “উর্দু সাহিত্যের পরম্পরা :১ ।। জাভেদ হুসেন”

  1. Muhammad Taher বলেছেন:

    পথের ধারে জীবন কাটানো এক অবহেলিত কবি ও তার অসাধারণ কিছু পঙক্তিমালা আমাদের জন্য কুড়িয়ে এনে উপহার দেবার জন্য জাভেদ ভাই কে অনেক সালাম। আর আজ ই পরিচিত হুওা, এই গুণী কবির স্ম্রিতির প্রতি রইলো আমার আনেক প্রণাম।

  2. আমিন বাবু বলেছেন:

    দারুন লেখা! লেখকের বর্ণনার মধ্য দিয়ে নিজেকে লীন হতে হলো। কিন্তু রুচি তো বেড়ে গেল। উর্দু সাহিত্য চর্চার ধারা ও ইতিহাস নিয়ে একটা লেখা পড়তে চাই। সুফীবাদের প্রাকটিশিয়ানদের বিস্তারিত চাই। মান্টো এবং তুলনামূলক সাহিত্য সম্পর্কে কী বলবেন?

    1. জাভেদ হুসেন বলেছেন:

      ধন্যবাদ ভাই। মূলত কবিদের নিয়ে কথা বলার ইচ্ছে। মান্টো নিয়ে এবার প্রথমা থেকে আমার বই বের হয়েছে। আর উর্দু কবিতা তো সুফি ভাব ছাড়া লেখা ও বোঝা একেবারেই অসম্ভব। তা উল্লেখ না করলেও টের পেয়ে যাবেন লেখায়।

জাভেদ হুসেন শীর্ষক প্রকাশনায় মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

scroll to top