বেড়ে উঠছে জীবন
আমাদের মাঝে
কেবল কাজ
সন্তানের মতো বড় হচ্ছে,
এক অনন্ত স্বপ্ন প্রসব করবো বলে,
অনুভব করছি ব্যথা
যদিও স্বপ্ন আমাদের
তবুও কষ্টই কেবল
তোমারই, বুকের কোথাও
একটু একটু বেড়ে উঠছে জীবন ;
দূরে দাঁড়িয়ে
বাতাসের আমি
গায়ে হাত বুলিয়ে রোদ্দুর…
সন্তানের মুখ দেখেই
একদিন মাটি হবো আমরা।
মনোবিকলন
আমি আমার লিপির কারিগর
নিয়মিত খোদাই করি নিজের দেয়াল।
নীল আকাশ
খোলামেলা বাড়ি
বর্ণময় উঠোন
কবিতার চারাগাছ
শব্দের কুঁড়ি এলে ফড়িং ওড়ে,
প্রজাপতি আসে, রঙ ছড়ায়, এবং পরাগমিলন।
পরাগরেণুর ছোঁয়া পেলেই
বর্ণ মালায় বর্ণময়
সাজিয়ে রাখি আকাশ
মনের কলি সুর ধরলেই খোদাই করি পুনরায়।
ঘুম না এলে
রাতের অদ্ভুত শব্দ
শুনতে শুনতে
স্নায়ুরোগ,
ছুঁড়ে ফেলার জন্য
ছুটতে থাকে চেতন ঘোড়া
ঘুম না এলে
শূন্যতার নীল আলোয়
অনুসন্ধানী চোখ
মাথার ভেতর
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার
দরজায় তালা ঝুলিয়ে
সাঁকোয় রাখে পা
আনুমানিক এগিয়ে যায়
বুকের উপত্যকা বরাবর
তখনও
স্নায়ুর ভেতর
শব্দের জন্য জেগে থাকে নদী
ঢাল বেয়ে নেমে আসে
উষ্ণ স্রোত, তবুও
বুকের চালাঘরে
এক নিঃসঙ্গ চড়াই
কার জন্য খর জমা করে !
আজন্ম পথের
কারা যেন
দু’শ বছর হেঁটে
আজন্ম পথের…
কারা যেন কাঁচাঘুম ভেঙে
কল্পনাগরিক,
সকাল হতেই
কারো নগর গঙ্গাস্নান সারে
কারো মুখে সংগ্রামের ক্ষত
শুকোনোর আগেই
ফিরিয়ে নেয় মুখ;
কারো ভেতর গঙ্গা
জেগেই ছিল
ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে জ্বলে উঠেছিল
আগুন রঙ
সেদিনের আগুন বুকে
ফুটন্ত লাভা
নদীকে লাল করে রাখে আমৃত্যু ।
জানালায়
ওকে দেখি না,
অথচ একদিন এক একটি দিন তার
সাথেই, কত কি গোপন আলাপ;
শুনেছি
বাইরে ভেতরে-
আলোপথে
আমার কেউ উঁকি দিয়ে দেখে,
একটি জানালা ছাড়া আমার বলে কিছু নেই।
ওটা বন্ধ হবে ভেবে আমি ঘুমোতে পারি না
জানি, কেউ ঘুমোতে চায়
আমাকে এক রাত ঢেলে দিয়ে
ভুলিয়ে দিতে চায় নাটকপাড়ার সুখ ;
ওখানে অদৃশ্য থেকে ফুঁকে দেওয়া উড়ন্ত তাসে
ভেসে থাকে কালো টাক্কা
পাক্কা খেলোয়াড়ের মতোই
কে খেলে কার খেলা !
ভেতর থেকেই দেখছি
বাইরে কত যে অচল চলাচল,
আমি জানালায় একা…