❝
চিরকালীন বর্তমানে বাঁচতে হলে অতীত এবং স্মৃতির কাছে মরে যেতে হয়। এই মৃত্যুর মাধ্যমেই নিরন্তর
জীবনলাভ ঘটে।
∷
একজন আরব, একজন মুসলিম, একজন হিন্দু, একজন কম্যুনিস্ট― সে যেই হোক আমি যখন কাউকে হত্যা করি,
মূলত আমি নিজেকেই হত্যা করছি। তোমরা এটা বুঝতে পারো কিনা আমি সন্দিহান।
∷
মানুষ যখন প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সংযোগ নষ্ট করে ফেলে, তখনই মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জা গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে ওঠে।
∷
যদি তুমি একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিবর্তন করো, তবে তুমি পুরো পৃথিবীর বোধকেই প্রভাবিত করছো।
∷
সমাজ একটি বিমূর্ত সত্ত্বা। বিমূর্ততা প্রকৃত সত্য নয়। মূলত পারস্পরিক ক্রিয়াই প্রকৃত সত্য। মানুষের
মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া গড়ে উঠেছে যাকে আমরা সমাজ বলি।
∷
শূন্যতা- সূর্যাস্তের মতো, পরিপূর্ণ মাধুর্য, জাদুর আবেশ এবং ঐশ্বর্য নিয়ে আসে ; কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ওঠার
মতোন স্বত:স্ফূর্তভাবে শূন্যতা আসে।
∷
আমাদের সুরত যা, এই পৃথিবী মূলত তাই।
∷
এই প্রতিযোগিতামূলক, নিষ্ঠুর সভ্যতা নির্মাণে আমরা
প্রত্যেকেই হাত লাগিয়েছি, যেখানে মানুষ মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী।
∷
আমার নিজ সত্ত্বাকে পাঠ করা প্রয়োজন― আদতে আমি যা, আমি যা হতে চাই তা নয়।
∷
বিশ্বাসের অপরিবর্তনীয় দৃঢ়তা মূলত একটি ভয়ের ইঙ্গিত।
❞
[ জিদ্দু কৃষ্ণমূর্তি (১৮৯৫-১৯৮৬) একজন ভারতীয় দার্শনিক এবং আধ্যাত্ম বিষয়ের উপর একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক ও বক্তা। তিনি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে থিওসফিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ডক্টর অ্যানি বেসান্ত এর সান্নিধ্যেই যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠেন। কার্যকর ও উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক বিপ্লবের চেয়ে মানসিক বিপ্লব এর উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যে তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। কৃষ্ণমূর্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন ]